সিনিয়র রিপোর্টার : সব শর্তপূরণ করে নতুন আভাস দিচ্ছে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। চলতি বছরের ৫ মার্চ কোম্পানির কয়েকটি ওষুধের নিবন্ধন সাময়িকভাবে বাতিল করলেও পরে ২২ মার্চ তা প্রত্যাহার করে নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
একই সঙ্গে কোম্পানির উদ্যোক্তাদের ২৫.৮৯ শতাংশ শেয়ার থেকে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ পূরণ করতে বৃহস্পতিবার ৪৯ লাখ ২৫ হাজার ৮১৫ টি শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন পরিচালক মোরশেদা আহমেদ।

বর্তমান বাজারদরে পাবলিক মার্কেট থেকে আগামী ৩০ কার্যাদবসের মধ্যে ক্রয় করবেন বলে বৃহস্পতিবার তথ্য প্রকাশ করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। যদিও ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ হলেও সাড়ে তিন মাস পরে ২৩ মার্চ থেকে ফের উৎপাদনে ফেরে। তাই সব শর্তপূরণ করায় নতুন কোন সম্ভাবনার আভাস দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইতোমধ্যে দ্বিতীয় দফায় সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ নতুন বার্তা বহন করছে। ধারণা করা হচ্ছে, করোনাকাল হলেও কোম্পানির ্উৎপাদন ও বিপনন ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আসছে।

সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের কারখানায় কিছু ওষুধ উৎপাদনে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
সেন্ট্রাল ফার্মার শেয়ার বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা কামাল আহমেদ সম্প্রতি বলেন, আমাদের কিছু ওষুধের লাইসেন্স সাময়িকভাবে স্থগিত রাখায় উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কারখানা পরিদর্শন করে যেসব সমস্যা তুলে ধরে, সেগুলো সমাধান করায় তারা ফের কারখানা পরিদর্শন করে ওষুধ উৎপাদনের ছাড়পত্র দিয়েছেন।

ডিএসইতে রোববার সকালে শেয়ারপ্রতি দর ১৩.৭০ টাকায় শুরু হলেও দিনশেষে দর কমে তা ১২.৯০ টাকায় লেনদেন শেষ হয়।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৯ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪৪ শেয়ার রয়েছে।
ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ২৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ১২ দশমিক ৪৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৬১ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ার।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮৭ পয়সা।
- পেছনের খবর : উৎপাদন বন্ধে মুনাফায় ধস, তবুও শেয়ারের দর বৃদ্ধি