সিনিয়র রিপোর্টার : রিং শাইন টেক্সটাইলের ১৫০ কোটি টাকা পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক বিভাগ থেকে ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে ব্যাখ্যা দাবি করে চিঠি দেয়া হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পক্ষে বিনিয়োগকারীদের সংগঠন রিং শাইনের আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ করে। অভিযোগের বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়।
বিএসইসি সূত্র জানায়, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে রিং সাইনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। কমিশন বিষয়টির ব্যাখ্যা প্রস্তুত করছে। সময় মতো বিএসইসি তাদের অবস্থান মন্ত্রণালয়ের কাছে স্পষ্ট করবে।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, রিং শাইনের বিষয়ে মন্ত্রণালয় নানা তথ্য চেয়েছে। কমিশন সেগুলো প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।
রিং শাইন টেক্সটাইল আইপিওতে আসার আগে ২০১৩ সালে ১৩৭ কোটি টাকার মূলধন ছিল। প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে কোম্পানি ১৪৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে আইপিওর মাধ্যমে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি। অর্থাৎ ১৩৭ কোটি টাকা মূলধনের কোম্পানি ২৯৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে আর এর পেছনে বড় ধরনের অনিয়ম করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৫৪০ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৫০ কোটি ৩ লাখ ১৩ হাজার ৪৩ টি। তার মধ্যে উদ্যোক্তাদের কাছে ৩১ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫১ দশমিক ৮১ শতাংশ শেয়ার।