শাহীনুর ইসলাম : ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেডের নিজস্ব ১০টি বিমান ফের উড্ডয়ন করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এয়ার কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দুটি পক্ষ আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসছে। তবে এখনো দিনক্ষণ বা তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।
বৈঠকে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেড চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরীসহ অনেকে উপস্থিত থাকবেন। আজ রোববার দুপুরে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন অর্থমন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি মি. নাহিদ।
তিনি বলেন, বন্ধ বিমানগুলো ফের চালাতে তারা কি ধরনের সহায়তা চান তা নিয়েই আলোচনা করা হবে। বৈঠকের দিন নির্ধারণ করে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে। তবে আগামী সপ্তাহের মধ্যে আলোচনা হলেই ভালো।
তিনি আরো বলেন, আলোচনা সভায় বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীও উপস্থিত থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে তারা বৈঠবে বসবেন। গত জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে সহায়তা চেয়ে আবেদন করা হলে প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন বলে জানান নাহিদ।
একই সঙ্গে বৈঠকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষও (বেবিচক) উপস্থিত থাকার আভাস মিলেছে।


দেশের বৃহৎ বেসরকারি বিমান সংস্থার প্রতি আস্থা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পুঁজিবাজারের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে চলতি জানুয়ারি মাসের সপ্তাহে এ আবেদন করা হয়। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেডের নিজস্ব ১০টি বিমান ফের উড্ডয়ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এয়ার কর্তৃপক্ষ।
আর্থিক সংকটের কারণে ২০১৬ সালের ৫ মার্চ অনিবার্য কারণবশত বিমান উড্ডয়ন বন্ধ করা হয়।
সরকারি সহায়তা সম্পর্কে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেডের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরী এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে প্রয়োজনীয় সহায়তার বিষয়ে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেডের শীর্ষ এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে বলেন, ‘আমরা অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি। কিন্তু দেশের হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া স্থিতিশীল পুঁজিবাজার গঠন ও ১ লাখ ২২ হাজার সাধারণ বিনিয়োগকারীর স্বার্থে বিমানগুলো ব্যবহার করা দরকার।’
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘এ বছরের মধ্যে ব্যবহার করা না হলে বিমানগুলো আর উড্ডয়ন উপযোগী করা সম্ভব হবে না। সরকার যেভাবে খুশি এগুলো কাজে লাগাতে পারে। আমরা চাই, আবারো ইউনাইটেড এয়ার উড়ুক। সরকার কি ধরণের সহায়তা দেবে, আমার কিভাবে নেব এবং তা কিভাবে ব্যবহার হবে -এসব নির্ধারণ করে শিগগিরই তাদের তারিখ জানানো হবে’ বলেন তিনি।
তবে চলতি ফেব্রুয়ারি মসের শেষে বা আগামী সপ্তাহে দুটি পক্ষ বৈঠকে বসছে বলে আভাস মিলেছে।
অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের একটি পক্ষ প্রত্যাশা করে জানায়, এয়ার কোম্পানির শেয়ারে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আশা করছি- ভালো কিছু হবে। যা শেয়ার আছে, অন্তত আর ছয়টা মাস ধরে রাখবো। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় নিশ্চয় ভালো কিছু হচ্ছে।