এদিকে ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ঘোষিত ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বিতরণ সম্পন্ন করায় গত মাসে জেমিনি সি ফুডকে ‘বি’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করেছে ডিএসই।
নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৫ হিসাব বছরে এ কোম্পানির নিট মুনাফা ছিল ৭৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা, আগের বছর যা ছিল ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। গেল হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়ায় ৬ টাকা ৮৯ পয়সা।

২০১৪ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় জেমিনি ফুড। এতে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ‘জেড’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয় কোম্পানিটি। সে বছর লোকসান কাটিয়ে তারা শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৩৯ পয়সা মুনাফা দেখায়, যেখানে
আগের বছর শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১৫ টাকা ৩৯ পয়সা।
এদিকে ২০১৪ হিসাব বছর শেষে শেয়ারপ্রতি ৪ টাকা ৩১ পয়সা দায় থাকলেও ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি কোম্পানিটির নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৮৩ পয়সা।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ডিএসইতে গত সপ্তাহে জেমিনি সি ফুডের শেয়ারদর ২৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বেড়েছে। এক সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৬ কোটি ৬৭ লাখ ১১ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়। বৃহস্পতিবার সর্বশেষ ৫৭৮ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হলেও দিন শেষে শেয়ারটির দর ছিল ৫৬৪ টাকা ৯০ পয়সা। গত এক বছরে এর দর ১৫৭ থেকে ৫৯৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে কোম্পানিটি জানায়, শেয়ারের সাম্প্রতিক অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির নেপথ্যে কোনো অপ্রকাশিত মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই তাদের হাতে।
এ কোম্পানির শেয়ারের দরবৃদ্ধির নেপথ্যে কোনো কারসাজি আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে গত বছর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
১৯৮৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জেমিনি সি ফুডের অনুমোদিত মূলধন ২ কোটি, পরিশোধিত মূলধন ১ কোটি ১০ লাখ ও রিজার্ভ মাইনাস ৯০ লাখ টাকা। এ কোম্পানির মোট শেয়ার রয়েছে ১১ লাখ। এর ৭৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১ দশমিক ৭৬ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ শেয়ার।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত মুনাফা ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত ৮১ দশমিক ৯৯।