সিনিয়র রিপোর্টার : প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে টাকা উত্তোলন করেও সেই টাকায় ব্যবসায় উন্নতি করতে পারেনি ৯টি কোম্পানি। কোম্পানিগুলো বাজার থেকে ৪৯৯ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করেও ব্যবসায়িক অবস্থার উন্নতি করতে পারেনি।
অন্যদিকে আইপিও না দেয়ার অনুরোধ করে সাবেক অর্থমন্ত্রী নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে অনুরোধ করলেও সেই কোম্পানিও অনুমোদন পেয়েছে।
যে কারণে বিগত কমিশনকে বিভিন্ন সময় সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে। এ সব কোম্পানিকে আইপিও অনুমোদন দেয়ার ফল গুনছে পুঁজিবাজার। কোম্পানিগুলো ব্যবসা সফল হতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন লাখো বিনিয়োগকারী।
ব্যবসা সফল করতে না পারা কোম্পানিগুলো হলো- জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস, অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স, ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ফ্যামিলিটেক্স (বিডি), এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডায়িং এবং সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল।
আইপিও শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) তালিকাভুক্তির বিষয়ে কমিশনের কাছে ৬টি কোম্পানি সম্পর্কে নেতিবাচক সুপারিশ করে ডিএসই।
সেগুলো হলো- জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস, ফ্যামিলিটেক্স, ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, অ্যাপোলো ইস্পাত, এমারাল্ড অয়েল, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল।
তত্কালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিএসইসির কাছে চিঠি পাঠিয়ে অ্যাপোলো ইস্পাতের আইপিও অনুমোদন না দেয়ার অনুরোধ করেছিলেন।
তাছাড়া ২০১০ সালে সম্পদ বাড়িয়ে দেখানোর কারণে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনসের আইপিও বাতিল করেছিল বিএসইসি। অথচ পরবর্তী সময়ে বিশেষ ক্ষমতায় আবার আইপিও অনুমোদন দেয় বিএসইসি।