স্টাফ রিপোর্টার : প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) চাঁদা গ্রহণ প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু পরিবর্তন আসছে। থাকছে না আইপিও লটারি। বুক-বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান দ্বৈত সম্মতিপত্রের পরিবর্তে বিডিং ও প্রসপেক্টাস প্রকাশের সম্পতিপত্র একসঙ্গে দেয়া হবে।
নতুন বছরের ১ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সব সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ, আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে ন্যূনতম বিনিয়োগের শর্ত, ন্যূনতম চাঁদার পরিমাণ এবং বুক-বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে দ্বৈত সম্মতিপত্রের পরিবর্তে একক সম্মতিপত্র প্রদান সংক্রান্ত বেশ কিছু পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৭৫৫ তম কমিশন সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তবে শর্ত হল, আইপিওতে আবেদনের আগে একজন বিনিয়োগকারীর তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ বা সেকেন্ডারি মার্কেটে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে। আইপিওতে বিনিয়োগের জন্য আগে এ নিয়ম ছিল না। এতদিন কোনো কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে টাকা তুলতে চাইলে তাদের শেয়ার লটারি করে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিলি করা হত, কারণ শেয়ারের তুলনায় আবেদন জমা পড়ত বেশি।
বিএসইসি বলছে, ১ এপ্রিলের পর নতুন আইপিওর ক্ষেত্রে লটারির পরিবর্তে আবেদনকারীদের মধ্যে আনুপাতিক হারে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হবে।
প্রথমিক গণপ্রস্তাবে একজন সাধারণ বিনিয়োগকারীকে ন্যূনতম ১০ হাজার টাকার শেয়ারের জন্য আবেদন করতে হবে। কেউ চাইলে ১০ হাজার টাকার গুণিতক হারে আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়া বুক-বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে টাকা সংগ্রহের সময় আরও কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি।
আগে বিডিং ও প্রসপেক্টাস প্রকাশের ক্ষেত্রে আলাদা সম্মতিপত্র দিতে হত বলে সময় বেশি লাগত।
কমিশন সভা শেষে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিদ্যমান লটারি ব্যবস্থার পরিবর্তে আনুপাতিক হারে বরাদ্দ দেয়া হবে।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বাজারমূল্যে নূন্যতম ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে। আইপিওর আবেদনের ক্ষেত্রে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ন্যূনতম চাঁদার পরিমাণ ১০ হাজার টাকা বা এর গুণিতক হবে।