সিনিয়র রিপোর্টার : চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী বেড়েছে প্রায় ৪২ হাজার। বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম যৌক্তিক মূল্যের চেয়ে কম থাকার পাশাপাশি পুঁজিবাজার ভালো হবে এমন বিশ্বাসে নতুন করে বিনিয়োগকারীরা বাজারমুখী হচ্ছেন বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, নতুন বিনিয়োগকারীদের বেশিরভাগই বিদেশি ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। এর মধ্যে বিদেশিরা হাতে গোনা কয়েকটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করছেন।
ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড’র (সিডিবিএল) তথ্য মতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের শেষ দিন অর্থাৎ ৩০ জুন বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিলো ২৯ লাখ ২৭ হাজার ৭৬০টি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে নবায়ন ফি পরিশোধ না করায় এ সময় অন্তত ২ লাখ ৭০ হাজার ৫২০টি বিও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় সিডিবিএল।
ফলে জুলাই মাসে সেই বিও সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২৬ লাখ ৫৭ হাজার ২৪০টিতে। সেখান থেকে আগস্ট মাসে তা আরো কমে দাঁড়ায় ২৬ লাখ ৫০ হাজার ৭০৫টিতে। তবে পরের মাস সেপ্টেম্বরে বিও হিসাব বেড়ে ২৬ লাখ ৮২ হাজার ৯৬০টিতে দাঁড়ায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বর মাসেও তা বৃদ্ধি পেয়ে ক্রমান্বয়ে ২৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩৪৮টি ও ১২ নভেম্বর (রোববার) পর্যন্ত ২৬ লাখ ৯৮ হাজার ৯৫২টিতে দাঁড়িয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী একজন বিনিয়োগকারী একটি বিও হিসাবের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেন। সে হিসেবে নতুন অর্থবছরের প্রথম চার মাস ১২ দিনে পুঁজিবাজারে বিও বেড়েছে ৪১ হাজার ৭১২টি।
এ বিষয়ে সিডিবিএলএ’র কর্মকর্তা শুভ্রকান্তি চৌধুরী বলেন, নতুন করে বেশ কিছু বিও অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। তবে কিছু সাসপেন্ড (স্থগিত) বিও নবায়ন ফি দিয়ে সচল করা হয়েছে। প্রতিবছরই জুনে অনেক বিও বন্ধ হয়ে যায়, এরপর নতুন করে বাড়তে থাকে, যোগ করেন তিনি।
সূত্র মতে, পুঁজিবাজারে তিন শ্রেণির মোট ২৬ লাখ ৯৮ হাজার ৯৫২টি বিও রয়েছে।