সিনিয়র রিপোর্টার : ‘৫ বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে পারছে না এমন কোম্পানিগুলো পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করা হবে। আমরা ১৩ কোম্পানির পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এজন্য প্রথমে নোটিশের মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর সার্বিক অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে।’
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ারহোল্ডার পরিচালক, প্লাটিনাম সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও বিএলআই সিকিউরিটিজের কর্ণধার মিনহাজ মান্নান ইমন এসব কথা বলেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জবাব সন্তোষজনক না হলে, আইনানুসারে তালিকাচ্যুতির উদ্যোগ নেয়া হবে।’

‘রহিমা ফুড ও মডার্ন ডায়িংকে তালিকাচ্যুতির ক্ষেত্রে আগে থেকে কিছু না জানানোর কারণে বিনিয়োগকারীরা অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। এজন্য আগে থেকে আমরা ১৩ কোম্পানির পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করার বিষয়টি জানিয়েছি, যাতে সময় থাকতে বিনিয়োগকারীরা সতর্ক হতে পারেন।’
‘আশা করি, বিনিয়োগকারীরা জাংক শেয়ার ও মৌল ভিত্তির শেয়ারের মধ্যে বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্যটি বুঝতে পারবেন।’
আশঙ্কায় থাকা কোম্পানিগুলো হচ্ছে- খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের মেঘনা পিইটি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেড ও জিলবাংলা সুগার মিলস লিমিটেড, বস্ত্র খাতের দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস লিমিটেড ও ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ব্যাংক খাতের আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড, ট্যানারি খাতের সমতা লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেড।
প্রকৌশল খাতের কে অ্যান্ড কিউ বাংলাদেশ লিমিটেড, বিবিধ খাতের সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ লিমিটেড, পাট খাতের জুট স্পিনার্স লিমিটেড, ওষুধ ও রসায়ন খাতের বেক্সিমকো সিনথেটিকস লিমিটেড এবং সিরামিকস খাতের শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড।
বুধবার ডিএসই আরো দুটি কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করেছে। তা হলো- সোনারগাঁও টেক্সটাইল ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্কস। এসব কোম্পানির কর্মক্ষমতা তদন্ত করবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।