শাহীনুর ইসলাম : বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেতে আরো বিলম্ব হবে। কোম্পানি অনুমোদন ছাড়া পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো বাড়ানোর অভিযোগে আইপিও স্থগিত করা হয়।
এমনি তথ্য উপস্থাপন করা হলেও বেরিয়ে এসেছে অন্য তথ্য- অনিয়মতান্ত্রিকভাবে কোম্পানির লাইসেন্সধারী উদ্যোক্তাদের বাদ দিয়ে এবং তিন পরিচালককে না জানিয়ে পুঁজিবাজার থেকে টাকা উত্তোলনের উদ্যোগ নেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে কোম্পানির মেঘনা গ্রুপের কোম্পানিটির আইপিও প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।
অবৈধ পরিচালকদের নিয়ে চলছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। কোম্পানির প্রতিষ্ঠাকালীন তিন পরিচালককে না জানিয়ে অবৈধভাবে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের উদ্যোগও নেয় একটি পক্ষ।
একই সঙ্গে কোম্পানির ২০ শতাংশ শেয়ার এফএম কামালের হলেও প্রকাশিত প্রসপেক্টাসে তাকে শেয়ারহোল্ডার হিসেবে দেখানো হয়েছে। বাকি দুই প্রতিষ্ঠাকালীন উদ্যোক্তাকেও একইভাবে কম শেয়ার দেখিয়ে পরিচালক পদ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এফএম কামালের অভিযোগের ভিত্তিতে আইডিআরএ সম্প্রতি কোম্পানির অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কোম্পানির আইপিও প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সানা উল্লাহ বলেন, আইন অনুযায়ী এফএম কামালকে পরিচালনা পর্ষদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না।
বীমা কোম্পানিগুলোর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের বিষয়ে আইডিআরএ সদস্য জুবের আহমেদ খান বলেন, অনেক কোম্পানির পরিচালকরাই নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারী ও বীমাগ্রহীতাদের। সম্প্রতি আমরা বেশকিছু কোম্পানিতে নিরীক্ষক নিয়োগ দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে সব কোম্পানিতে দেব। তখন বিষয়গুলো আরো ভালোভাবে বেরিয়ে আসবে এবং আমাদের পক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণও সহজ হবে।
আরো খবর : কেন বন্ধ হবে ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের আইপিও