স্টাফ রিপোর্টার : স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক কামাল মোস্তফা চৌধুরী ১০ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। ব্যাংকটির তার ধারণকৃত শেয়ারের পরিমাণ ২ কোটি ১০ লাখ ১৩ হাজার ৫৮টি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
এদিকে হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) কোম্পানিটি ১০ পয়সা শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দেখিয়েছে, যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪৫ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ৩ পয়সা, যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ২৪ পয়সা। ৩০ জুন সময়ে ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৫৫ পয়সা।
সর্বশেষ রেটিং অনুযায়ী, দীর্ঘমেয়াদে কোম্পানিটির ঋণমান ‘ডাবল এ’ ও স্বল্প মেয়াদে ‘এসটি-টু’। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরের ৩১ মার্চ ২০১৮-এর অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ মূল্যায়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৭ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। গেল বছর ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকের এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৬ টাকা ৯৪ পয়সায়।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। সে হিসাব বছরে ব্যাংকটির ইপিএস হয় ১ টাকা ৪৪ পয়সা। ২০১৫ হিসাব বছরের জন্য ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পান ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা।
ডিএসইতে বৃহস্পতিবার স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক শেয়ারের সর্বশেষ দর ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ বা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১০ টাকা ৫০ পয়সায়। দিনভর দর ১০ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১০ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। সমাপনী দর ছিল ১০ টাকা ৫০ পয়সা, যা এর আগের কার্যদিবসে ছিল ১০ টাকা ৩০ পয়সা। এদিন ১৬০ বারে এ ব্যাংকের মোট ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৫৫৬টি শেয়ারের লেনদেন হয়। এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন দর ছিল ১০ টাকা ও সর্বোচ্চ দর ১৭ টাকা ৪০ পয়সা।
২০০৩ সালে শেয়ারবাজারে আসা স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ৫০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৮৭০ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪৭০ কোটি ২ লাখ টাকা। মোট শেয়ারসংখ্যা ৮৭ কোটি ৯ লাখ ৮৭ হাজার ৬৯৬; যার মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালক ৩৯ দশমিক ১৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ২১ দশমিক ৮২ শতাংশ, বিদেশী ২ দশমিক ৪৫ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে ৩৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ শেয়ার।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৭ দশমিক ৩৯। অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ৫২ দশমিক ৫।