স্টাফ রিপোর্টার : সম্প্রতি শেয়ারের অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির পেছনে মূল্যসংবেদনশীল কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষের চিঠির জবাবে এ তথ্য দিয়েছে কোম্পানিটি।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এক মাসে শেয়ারটির দর ৪০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৪৬ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। ডিএসইতে বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর সিমটেক্স শেয়ারের সর্বশেষ দর শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ বা ৩০ পয়সা কমে দাঁড়ায় ৪২ টাকা ৫০ পয়সায়। দিনভর দর ৪১ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৪৩ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। সমাপনী দর ছিল ৪২ টাকা ৩০ পয়সা, যা এর আগের কার্যদিবসে ছিল ৪২ টাকা ৮০ পয়সা। এদিন ১৪৯ বারে এ কোম্পানির মোট ১ লাখ ৪১ হাজার ১৭টি শেয়ারের লেনদেন হয়। এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন দর ছিল ২৪ টাকা ৮০ পয়সা ও সর্বোচ্চ দর ৪৯ টাকা ৯০ পয়সা।
জানা যায়, বিদ্যমান কারখানার কাঁচামালের চাহিদা পূরণে নতুন একটি স্পিনিং ইউনিট স্থাপন করবে কোম্পানিটি। স্পিনিং ইউনিটের উৎপাদিত সুতা থেকে বিভিন্ন ধরনের কাপড় উৎপাদন করা হবে। সব মিলিয়ে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮০ কোটি টাকা। স্থানীয় ব্যাংকের পাশাপাশি বিদেশী ঋণ ও কোম্পানির নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানির পর্ষদ।
ডিএসইর তথ্যানুযায়ী, নতুন স্পিনিং ইউনিটে উন্নত মানের স্পান পলিয়েস্টার সুইং থ্রেড উৎপাদনের জন্য ২৬ হাজার স্পিন্ডল স্থাপন করা হবে। এ ইউনিটে প্রতিদিন গড়ে ১৫ মেট্রিক টন র সুইং থ্রেড উৎপাদিত হবে। এতে কোম্পানিটির প্রয়োজনীয় কাঁচামালের ৭৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ হবে।
এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই ১৭-মার্চ ১৮) সিমটেক্সের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৪ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৫৬ পয়সা। ৩১ মার্চ এর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ২২ টাকা ৯২ পয়সায়।
২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ২ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ। এক বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫২ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ২ টাকা ১৫ পয়সা (বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর)। ২০১৬ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল সিমটেক্স।
২০১৫ সালে শেয়ারবাজারে আসা কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৬৫ কোটি ৯১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। রিজার্ভ ৪৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানির ৩৪ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ার এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রতিষ্ঠান ১৮ দশমিক ৪৩ ও বাকি ৪৭ দশমিক ২৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ১৮ দশমিক ৪৭, অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ২০ দশমিক ৬।