শ্যামল রায়ঃ জান্নাত আরা মুক্তা। কাজ করছেন ইস্টার্ন ব্যাংক সিকিউরিটিজে। বাংলাদেশে শেয়ার ব্যবসায় মহিলাদের সেভাবে দেখা যায় না। কিন্তু তিনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে এধরনের একটি শক্ত পেশায় নিজের ক্যারিয়ার গড়েছেন। বাংলাদেশের শেয়ার বাজারের সার্বিক বিষয় নিয়ে স্টক বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়েছিল জান্নাত আরা মুক্তার। শেয়ার বাজার নিয়ে তার ভাবনা গুলোই তুলে ধরা হলো স্টক বাংলাদেশের পাঠকদের উদ্দ্যেশ্যে।
মেয়েরা আজ সব ধরনের পেশায় অত্যন্ত সাবলিলভাবে কাজ করছে বরং অনেক ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় ভালই করছে। কাজেই মেয়েদের শেয়ার বাজারে আসতে কোন বাধা নেই। আমি তো মনে করি বাংলাদেশেও এর প্রচলন শুরু হয়েছে। শেয়ার মার্কেট রিলেটেড অনেক কাজেই এখন মহিলার নির্বিঘ্নে কাজ করছে। এটা আর নতুন কিছু নয়।
তবে আমার মতে মহিলাদের এ মার্কেটের আদ্য পান্ত বুঝে আসতে হবে। তাহলে অন্তত কাজ করার ক্ষেত্রে কোন ধরনের ঝামেলায় পরতে হবে না।
বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটের বর্তমান পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন এখানে জেনে বুঝে খুব কম লোকই বিনিয়োগ করে। ফলে প্রতিনিয়তই ক্ষতির সম্মুখীন হন তারা।
প্রত্যেক ব্যবসায় কিছু নিয়মনিতি থাকে এগুলো জেনে বুঝে ব্যবসায় নামলে ক্ষতির সংখ্যাটা কমে যায়। আমাদের মার্কেটে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি কিছু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী আছে তারা সব সময় ক্ষতির মুখে পড়ে এর কারন একটাই না বুঝে বিনিয়োগ করা প্রয়োজনে একপার্টদের কাছে যেতে হবে।
এছাড়া বাংলাদেশের সিকিউরিটিজ এক্সেঞ্জ কমিশন অনেকগুলো উদ্যোগ নিয়েছে এগুলো থেকে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ সংক্রান্ত অনেক কিছু শিখতে পারেন।
প্রত্যেক বিনিয়োগকারীকেই কেনে-বেচার আগে কিছু রুলস মেনে চলতে হবে। তাহলে ক্ষতির সম্ভাবনা কমে যাবে। কারণ শেয়ার ব্যবসা লিকুইড মানির ব্যবসা। হুটহাট করে স্টক কিনে লাভ করা সম্ভব নয়।
স্টক কেনার আগে কোম্পানির ভাল মন্দ বিচার করে কিছু বিষয় দেখে নেয়া দরকার। যেমন কোম্পানির মূলধন কত দেশী বিদেশী বিনিয়োগ কত। কোম্পানির মালিকের পার্সেন্টেজ কত বছর শেষে কোম্পানিটি কি রকম, আয় ইনকাম করে, ডিভিডেন্ট দেয় কি রকম, মালিক পক্ষের সুনাম কতটুকু।
নেট এসেট ভ্যালু কতটুকু এগুলো সব বিবেচনায় নিয়ে তারপর মার্কেটের ইনডেক্স দেখে শেয়ারটি কিনতে হবে। শুধু রিউমার কিংবা স্ক্রীনের উপর ভরসা করে কোন শেয়ার কেনা উচিত নয়। এতে লসে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে।
সত্য কথা বলেছেন