স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ইনডেক্সে ১১ মার্চ, রবিবার মেজোর সাপোর্টে বেয়ারিশ ক্যান্ডেল দেখা গেছে। আজ শুরু থেকেই সেল প্রেশার থাকায় দিন শেষে বাজার ৫৪.৬২ পয়েন্ট নেমে বেয়ারিশ ক্যান্ডেল তৈরি করেছে।
গত দিনের হ্যামার ক্যান্ডেলের পর আজকে বড় আকারের বেয়ারিশ ক্যান্ডেল দেখা গেছে। দিনের শুরু থেকে মার্কেটে সেলারদের আধিপত্য লক্ষ্য করা যায়। দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেলারদের চাঞ্চল্যতায় শেষ হয় মার্কেট। গত দিনের মত আজকেও মার্কেটে ভলিউম ছিল অনেক কম। তাই ধারণা করা যায় আজ মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি কম ছিল।
ডিএসই ইনডেক্স গত দিনের চেয়ে ৫৪.৬২ পয়েন্ট বা ০.১% নেমেছে। বাজারে সর্বমোট ৩৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মধ্যে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৩টির, হ্রাস পেয়েছে ২৪৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩১টি প্রতিষ্ঠানের। আজকের মোট লেনদেনের মূল্য দাড়িয়েছে ২৩৬ কোটি টাকায় আর মোট লেনদেন হয়েছে ৭০ হাজার ৫৬৪টি শেয়ার।
টেকনিক্যাল এনালাইসিস অনুযায়ী দেখা যায় ট্রেন্ড লাইন বজায় রেখেই চলছে মার্কেট। গত দিনের হ্যামার ক্যান্ডেলের পর আজকে শক্তিশালী বেয়ারিশ ক্যান্ডেল তৈরি করেছে মার্কেট যা ডাউন ট্রেন্ডের ধারাকে আরও দীর্ঘায়িত করার নির্দেশক হিসেবে কাজ করছে।
তিন ধরনের মুভিং এভারেজের (এসএমএ-১০, ইএমএ-৫০, ডাব্লিউএমএ-২০০) নিচে অবস্থান করছে মার্কেট। একই সাথে ট্রেন্ড লাইন ঘেঁষে মেজোর সাপোর্টে অবস্থান করছে মার্কেট।
এদিকে এভারেজ ডাইরেকশনাল ইনডেক্স (এডিএক্স) অনুযায়ী মার্কেট পুরোপুরি ট্রেন্ডিং অবস্থায় আছে এবং মাইনাস ডিআই লাইন প্লাস ডিআই লাইনের উপর অবস্থান করছে যা মূলত শক্তিশালী ডাউন ট্রেন্ডের আহবায়ক।
লক্ষ্য করলে দেখা যায় জানুয়ারীর ১ তারিখ থেকেই মাইনাস ডিআই লাইন প্লাস ডিআই লাইনের উপর অবস্থান করছে এবং ঠিক ঐ সময় থেকে মার্কেট আর উঠে দাড়াতে পারেনি। অর্থাৎ মার্কেটের বর্তমান অধঃপতন সম্পর্কে এডিএক্স আগে থেকে ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলো।
যদি আগামীকাল যথেষ্ট পরিমাণ বাইয়ার চলে আসে তাহলে ডোজি ক্যান্ডেল তৈরির মাধ্যমে মার্কেট বাউন্স ব্যাক করার একটি সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু আগামীকালও সেল প্রেশার বজায় থাকলে মেজোর সাপোর্ট ব্রেক-ডাউন করে অনেক নিচে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে মার্কেটের।
পরিশোধিত মূলধনের দিকে থেকে গত কালের তুলনায় আজ অনেক পিছিয়ে আছে মার্কেট। ০-১০ কোটি টাকার ৯টি, ১০-৩০ কোটির ১১টি, ৩০-৫০ কোটির ৮টি, ৫০-১০০ কোটির ১৪টি, ১০০-২০০ কোটির ৭টি এবং ২০০ কোটির বেশি ৪টি শেয়ারের দাম বেড়েছে যা গত দিনের তুলনায় যথাক্রমে ৪৭.০৬%, ৩৮.৮৯%, ৫২.৯৪%, ৩০%, ৬৩.১৬% এবং ৮৬.৬৭% কম।
পিই রেশিওর ভিত্তিতে মার্কেটে একই পরিস্থিতি দেখা যায়। ০-১০ পিই রেশিওর ৩টি, ১০-২০ পিই রেশিওর ২২টি, ২০-৪০ পিই রেশিওর ৮টি, ৪০-১০০ পিই রেশিওর ৪টি এবং ১০০ এর বেশি পিই রেশিওর ১৬টি শেয়ারের দাম বেড়েছে যা গত দিনের তুলনায় যথাক্রমে ৮৬.৯৬%, ৩৮.৮৯%, ৬৮%, ৫০% এবং ২৭.২৭% কম।
এছাড়া ক্যাটাগরির দিক থেকে বিবেচনা করলেও দেখা যায় এ-ইকিউ ক্যাটাগরির ৩৪টি, এ-এমএফ ক্যাটাগরির ৪টি, বি-ইকিউ ক্যাটাগরির ৪টি এবং জেড-ইকিউ ক্যাটাগরির ১১টি শেয়ারের দাম বেড়েছে যা গত দিনের তুলনায় যথাক্রমে ৬১.৩৬%, ৫৫.৫৬%, ৪২.৮৬% এবং ৩১.২৫% কম।