স্টাফ রিপোর্টার : দেশে মোবাইল ব্যাংকিং অনেক জনপ্রিয়। নিম্ন আয়ের মানুষও এর সঙ্গে সংযুক্ত। কিন্তু এক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন করা যায় না। এর ফলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কাক্সিক্ষত সেবাও পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মধ্যে আন্তঃলেনদেন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সোমবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য পেমেন্ট ইকোসিস্টেম নির্মাণ, প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়াশিংটন ডিসির এফটিআই কনসাল্টিংয়ের পাবলিক পলিসি উপদেষ্টা টম ক্রাফোর্ড।
বৈঠকটি সঞ্চালন করেন পিআই স্ট্র্যাটেজির ম্যানেজিং পার্টনার পিয়াল ইসলাম। বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) লীলা রশীদ, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্সের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, এবিবির চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান ও মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি আনিস এ খান, অ্যামচেমের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
লীলা রশীদ জানান, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই মোবাইল ব্যাংকিং সেবাটি ইন্টারঅপারেবল করার কাজ চলছে। এটি হলে একটি অ্যাকাউন্ট দিয়ে সব মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির অ্যাকাউন্টে লেনদেন করা যাবে। এ ছাড়া এটিএম বুথের মাধ্যমে টাকা জমা দেয়া বাড়ানো গেলে নগদ টাকা বহন অনেক কমে আসবে। এ সময় লীলা রশীদ কিউআর কোডের মান নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়েছে বলে জানান।
লীলা রশীদ আরো বলেন, দেশে বর্তমানে মোট ৮ কোটি ৭০ লাখ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অথচ কার্ড রয়েছে মাত্র ১ কোটি ৩৫ লাখের মতো। এর মধ্যে এক কোটি ২৪ লাখের মতো রয়েছে ডেবিট কার্ড। প্রিপেইড কার্ড রয়েছে এক লাখ ৬০ হাজারের কম। আর ক্রেডিট কার্ড রয়েছে ১০ লাখেরও কম।
টিআইএনের বাধ্যবাধকতার কারণে ক্রেডিট কার্ড এতো কম। পুরোপুরিভাবে এখন ৩০টি ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা রয়েছে। এর মধ্যে আন্তঃসংযোগের আওতায় এসেছে ১৩টি ব্যাংক। ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচের আওতায় বর্তমানে ৫১টি ব্যাংক আন্তঃব্যাংক এটিএম এবং ৫০টি ব্যাংক পয়েন্ট অব সেলস (পস) সেবা দিচ্ছে।