স্টাফ রিপোর্টার : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মডার্ণ ডায়িং অ্যান্ড স্ক্রীণ প্রিন্টিং কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান করেছে ৫৪ পয়সা । কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই, ১৪-সেপ্টেম্বর, ১৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন মঙ্গলবার ডিএসই প্রকাশ করলে এ তথ্য জানা যায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, আলোচিত প্রান্তিকে কোম্পানি কর পরবর্তী লোকসান হয়েছে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা ছিল ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং ইপিএস বা শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৩৬ পয়সা।
কারণ হিসেবে জানা যায়, চার বছর ধরে কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ। যন্ত্রপাতিও বিক্রি হয়ে গেছে। কোম্পানিটি লে-অফ (শ্রমিকের কর্মচ্যুতি) ঘোষণা করা হয়েছে। যে কারণে কোম্পানির ইপিএস কমেছে। তবে ২০১৩ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়কালে কোম্পানির বিস্ময়করবভাবে ইপিএস বৃদ্ধি হিসেবে দেখানো হয়।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে মডার্ন ডায়িংয়ের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। উৎপাদন বন্ধ হওয়ার পরপরই উৎপাদন কাজে ব্যবহূত সব যন্ত্রপাতি বিক্রি করা হয়েছে। এ ছাড়া কোম্পানির কারখানা প্রাঙ্গণ তৃতীয় পক্ষের কাছে ভাড়াভিত্তিক (রেন্টাল ভিত্তিতে) লিজ দেয়া হয়।
দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদনে না থাকার কারণে ডিএসই কর্তৃপক্ষ কোম্পানিটিকে নিম্ন শ্রেণীভুক্ত করেছে। ‘বি’ শ্রেণী থেকে এটিকে জাঙ্ক বা দুর্বল মৌলভিত্তির ‘জেড’ শ্রেণীভুক্ত করা হয়েছে। গত ১৮ ডিসেম্বর শ্রেণী পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।
২০১৩ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়কালে কোম্পানিটির ইপিএস দেখানো হয়েছে ৭৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৭৪ পয়সা। অর্থাৎ ২০১২ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের চেয়ে ২০১৩ সালের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ৩ পয়সা বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ ও লে-অফ ঘোষিত কোম্পানির আয় বৃদ্ধির ঘটনা বিরল।
শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ ও লে-অফ ঘোষিত কোম্পানির আয় বৃদ্ধির ঘটনা বিরল। তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা কতটা আইনসংগত ও যৌক্তিক, তা নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। কীভাবে এই আয় বাড়ল, তাও জনসমক্ষে প্রকাশ হওয়া দরকার।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির মোট শেয়ারের সংখ্যা ১৩ লাখ ৬৮ হাজার। কোম্পানির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, মোট শেয়ারের ৪০ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে। বাকি ৬০ শতাংশের মধ্যে ৫০ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক ও ১০ শতাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ বা আইসিবির হাতে রয়েছে।