স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের প্লান্ট পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত। ভিয়েতনামের সঙ্গে স্কয়ার ফার্মার অংশীদারিত্বমূলক বাণিজ্যের অংশ হিসেবে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ট্রান ভান খোয়া গতকাল রোববার সকালে প্লান্ট পরিদর্শন করেন।
কালিয়াকৈরে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের প্লান্টে সকালে পৌঁছালে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান, স্কয়ার ফার্মার ডিরেক্টর (টেকনিক্যাল অপারেশন্স) নওয়াবুর রহমান এবং এইচআর বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার রাজীব রানা। এ সময় রাষ্ট্রদূত ট্রান ভান খোয়ার সঙ্গে দূতাবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্কয়ার ফার্মার এসএফআরএল ভবনের সভাকক্ষে ফার্মাসিউটিক্যালস বিজনেস বিষয়ক সেমিনারে কোম্পানির সামগ্রিক বিষয়ে রাষ্টদূত ও প্রতিনিধি দলকে ব্রিফ করেন কোম্পানির ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং বিভাগের এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম। পরে কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি দলকে পুরো প্লান্টের উৎপাদন ও টেকনিক্যাল কার্যক্রম ঘুরিয়ে দেখান।
রাষ্ট্রদূত ট্রান ভান খোয়া পরিদর্শন শেষে আধুনিক, পরিবেশবান্ধব ও বিশ্বমানের এই কারখানা দেখে সন্তোষ ও ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে ভিয়েতনামী ওষুধ কারখানাগুলোর সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে এবং ভিয়েতনামে স্কয়ার ফার্মার বিনিয়োগের মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সুসংহত হবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম দুই দেশের নেতাদের সম্মতিতে আন্তঃবাণিজ্য সম্পর্ক ১ বিলিয়ন ইউএস ডলারে উন্নীত হবে এবং এতে স্কয়ার ফার্মা যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলেও রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ২০০৭ সাল থেকে ভিয়েতনামে অন্তত ১৪টি জীবনরক্ষাকারী ঔষধ রপ্তানি করছে। সম্প্রতি এই ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ ও যুক্তরাজ্যের এমএইচআরএ সনদ লাভ করেছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ৪২টি দেশে স্কয়ারের ঔষধ রপ্তানি হচ্ছে।