মেহেদী আরাফাত : সপ্তাহের শেষ কার্জ দিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর ডিএসইএক্স ইনডেক্স দিনের প্রথম ভাগে বিক্রয়চাপের ফলে নিন্মমুখি প্রবনতা নিয়ে হ্রাস পেতে থাকে এবং পরবর্তীতে দিনভর মিশ্র প্রবনতা লক্ষ্য করা গেলেও দিনের শেষভাগে পুনরায় বিক্রয় চাপের ফলে ডিএসইএক্স ইনডেক্স পুনরায় নিন্মমুখি হতে থাকে এবং ১৬.৭১ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে বিয়ারিশ ক্যান্ডেলস্টিক তৈরি করে। ডিএসই এক্স ইনডেক্স ১৬.৭১ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে ৪৩৯৫.২৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে, যা আগের দিনের তুলনায় ০.৩৭% হ্রাস পেয়েছে।
বর্তমানে ডিএসই এক্স ইনডেক্স এর পরবর্তী সাপোর্ট ৪৩০০ পয়েন্টে এবং রেজিটেন্স ৪৫০০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আজ বাজারে এম.এফ.আই এর মান ছিল ৪৯.২৩ এবং আল্টিমেট অক্সিলেটরের মান ছিল ৩৬.২০। এম.এফ.আই কিছুটা নিম্নমুখী অবস্থান করছে এবং আল্টিমেট অক্সিলেটর কিছুটা নিম্নমুখী অবস্থান করছে।
ডিএসইতে ৯ কোটি ৫১ লাখ ৩৪ হাজার ৬২৩ টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়, যার মূল্য ছিল ৫৩০.৫৮ কোটি টাকা। ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৭২ কোটি টাকা। ঢাকা শেয়ারবাজারে ৩১৮ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যার মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৩ টির, কমেছে ১৫৬ টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭৯ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
পরিশোধিত মূলধনের দিক থেকে দেখা যায়, আজ বাজারে চাহিদা কম ছিল ৩০০ কোটি টাকার উপরে পরিশোধিত মূলধনী প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের যা আগেরদিনের তুলনায় ৪৬% কম। অন্যদিকে কমেছে ২০-৫০ কোটি টাকার মূলধনী প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের যা আগেরদিনের তুলনায় ২৪.৬% কম। অন্যদিকে ০-২০ এবং ৫০-১০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মুলধনী প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের পরিমান গতকালের তুলনায় আজ ১৯.০৫% এবং ৩৩.৮৩% কম।
পিই রেশিও ২০-৪০ এর মধ্যে থাকা শেয়ারের লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৩৮.৬৮% কমেছে। অন্যদিকে পিই রেশিও ০-২০ এর মধ্যে থাকা শেয়ারের লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ২৯.৬৩% কম। বেড়েছে ৪০ এর উপরে থাকা শেয়ারের লেনদেন যা আগের দিনের তুলনায় ২০.৩২% বেশী।
ক্যাটাগরির দিক থেকে আজ পিছিয়ে ছিল ‘এন’ ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন যা আগেরদিনের তুলনায় ৬২.০১% কম ছিল। বেড়েছে ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন যা আগেরদিনের তুলনায় ৬২.৪০% বেশী ছিল।