সিনিয়র রিপোর্টার : রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেল ‘রূপসী বাংলা’ আগামীকাল সোমবার থেকে বন্ধ হচ্ছে। সংস্কার কাজের জন্য প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আবার পুরোনো নাম ‘হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল’ হয়ে ফিরে আসবে ঐহিত্যবাহী এই হোটেলটি। তবে পুঁজিবাজারে থাকা ‘এ’ ক্যাটাগরীর এ প্রতিষ্ঠানটির যারা শেয়ার ধারণ করছেন তাদের কি হবে? গত কয়েকদিন ধরে এমন প্রশ্ন করছেন বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড (বিডি সার্ভিস) বিনিয়োগকারীরা।
হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হোটেল পরিচালনাকারী প্রথম সারির আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারকন্টিনেন্টালের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী এই সংস্কার কাজ হচ্ছে। এরপর ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে হোটেল পরিচালনার দায়িত্ব বুঝে নেবে তারা। এদিকে ইন্টারকন্টিনেন্টালকে হোটেল পরিচালনার দায়িত্ব না দিতে গত বৃহস্পতিবার আমেরিকান প্রপার্টিজ ম্যানেজমেন্ট নামে এক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব খুরশিদ আলম চৌধুরী জানান, মূলত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ১ সেপ্টেম্বর থেকে হোটেলটি সংস্কার বিরতিতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সংস্কার কাজ আগেই হওয়ার কথা ছিল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য তা বন্ধ রাখা হয়েছিল। ইন্টারকন্টিনেন্টালের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি হয়েছে। চুক্তিতে রূপসী বাংলার সংস্কার করে দেয়ার শর্ত যুক্ত রয়েছে, যার ব্যয় বহন করতে হবে বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডকে। তিনি আরো বলেন, বন্ধ রাখা ছাড়া সংস্কার করা যাবে না। সংস্কার কাজের সময় পাঁচ শতাধিক কর্মচারীর যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সে বিষয়ে সরকারের লক্ষ্য রয়েছে।
প্রসঙ্গত; ১৯৬৬ সালে সাড়ে চার একর জমিতে রাজধানীর শাহবাগে যাত্রা শুরু করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দেশের প্রথম পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল। আন্তর্জাতিক হোটেল পরিচালনাকারী গ্রুপ ইন্টারকন্টিনেন্টাল ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত এটি পরিচালনা করে। পরে পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বদল হওয়ায় এর নাম হয় শেরাটন। প্রায় ২৮ বছর পর ২০১১ সালের এপ্রিলে শেরাটন গ্রুপ চলে গেলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড হোটেলটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বুঝে নেয়। ওই সময় থেকে শেরাটনের নাম বদলে রূপসী বাংলা রাখা হয়।
রূপসী বাংলার বিপণন পরিচালক মাহফুজুর রহমান জানান, বর্তমানে ২৮ বর্গমিটারের ঘরগুলো সংস্কার কাজের পর বেড়ে দাঁড়াবে ৪০ বর্গমিটারে। আর ২৭২ কক্ষের হোটেল পরিণত হবে ২২৬ কক্ষের। তিনি জানান, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে সংরক্ষণ করতে হোটেলের মধ্যে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হবে। এতে হোটেলে অবস্থানকারী বিদেশী নাগরিকদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম চৌধুরী বিনিয়োগকারী সম্পর্কে কিছু বলেননি। তাই এখাতে বিনিয়োগকারীরা অনেকটা দুরাশার মুখোমুখি হচ্ছেন। পুঁজিবাজারে ১৯৮৪ সালে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটি বেশ ভালো করেছে। গত ২৫ আগস্টের এজিএমের পরদিন ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী বিডি সার্ভিস ১৫ শতাংশ স্টিক ডিভিডেন্ট ঘোষণা করে। এর আগে ২০১৩ সালে ১৫ শতাংশ করেছিল। নীচের চিত্রে তা প্রকাশ করা হলো-
রাষ্ট্রায়ত্ত এ কোম্পানিটির শতভাগের শেয়ারের মধ্যে ৯৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ সরকারের। সাধারণ বিনিয়োগকারীর শুন্য দশমিক ২৩ শতাংশ বা ৬৬ হাজার ৫৪৮টি এবং অন্যদের কোন শেয়ার নেই। শেয়ার সম্পর্কিত নীচে একটি চিত্র দেয়া হলো-
পেছনের খবর : ১৫০০ টাকার শেয়ার ৮টাকা !
আরো খবর : ৭ টাকার শেয়ার ১৫০০ টাকা !