মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান : পুঁজিবাজারের যারা নিয়ন্ত্রণকারী, মাথা তারাই সাধারণ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের টাকা বিভিন্ন কারসাজির মাধ্যমে আত্বসাৎ করছে। ঠিক যেমন পিতা-মাতা সন্তানের টাকা চুরি করে সেই রকম একটি অবস্থা।
কথাটি যদি আর একটু ঘুরিয়ে বলি তাহলে বলবো পুঁজিবাজারের যারা রক্ষক তারাই ভক্ষকের পন্থা অবলম্বন করছে। আর রক্ষকরাই যদি ভক্ষকের পথ অবলম্বন করেন তাহলে এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছুই হতে পারে না।
মঙ্গলবার জামাল হোসেন নামের একজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী স্টক বাংলাদেশকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজার যারা নিয়ন্ত্রণ করে তারা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কাছে পিতা-মাতার মতো। তাদের বিশ্বাস করে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্যাপিটাল মার্কেটে বিনিয়োগ করে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য সেই সেইসব নিয়ন্ত্রণকারীরাই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের টাকা আত্বসাৎ করছে।
ডিএসই, আইসিবি, বিএসইসিসহ সরকারের যেসব নেতানেত্রীর কথায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রিত হয় এরা প্রত্যেকেই দুর্নীতিবাজ, মিথ্যাবাদী, চোর, বাটপার। এদের মধ্যে আল্লাহর ভয় নেই। এরা যা ইচ্ছা তাই করছে।
তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারে আমি ১ কোটি ২০ লাখ টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমার সব শেষ হয়ে গেছে। বৌ-বাচ্চাকে ঠিকমতো খাওয়াতে পড়াতে পাচ্ছি না। কোনরকম ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে আছি।
সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ সম্পর্কে তিনি বলেন, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৫৫/৬০ টাকা দরে মার্কেটে শেয়ার ছাড়ে। ১ বছর পরে এই কোম্পানি শেয়ার হোল্ডারদের জন্য নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে। বর্তমানে সুহৃদের শেয়ার দর ৯/১০। যারা সুহৃদের শেয়ার কিনেছেন তারা প্রত্যেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এরকম অসংখ্য কোম্পানি রয়েছে যারা মার্কেটে আসার আগে অনেক ধরনের ঢাক ঢোল পিটিয়ে থাকে।
আর মার্কেটে আসার পর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের টাকা উঠিয়ে নিয়ে তা আত্বসাৎ করে। কোম্পানিগুলোর এই ধরনের অপরাধমূলক কাজে ডিএসই, বিএসইসি, আইসিবি ও সরকারসহ পুঁজিবাজার নিয়েন্ত্রণকারীরা সরাসরি সহযোগীতা করে থাকে।
ওভার এক্সপোজারের বিষয়ে তিনি বলেন, ওভার এক্সপোজারের সময় সীমা না বাড়ালে পুঁজিবাজারে আরও আস্থার সংকট সৃষ্টি হবে। তবে হ্যা যদি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর লিমিট বাড়ানো হয় তবে সময় সীমা না বাড়ালেও চলবে।
সরকার ওভার এক্সপোজারের সময় সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটি একধরনের পুঁজিবাজারকে অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার মতো অবস্থা বলে তিনি মনে করেন।
বিএসইসিতে কমিশনার হিসেবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া স্বপন কুমার বালা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি ভালো কি মন্দ সে ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে চাই না। তার অভিজ্ঞতা নিয়েও কথা বলতে চাই না। তবে বর্তমানে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন সৎ লোকের।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণকারীদের মধ্যে সততার ভীষণ অভাব রয়েছে। অার স্বপন কুমার বালা কতটুকু সৎ ব্যক্তি সে ব্যাপারে অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে বলেও তিনি জানান।
এই সরকার থাকলে ব্যবসা করা যাবেনা।
Etodin por asol sotto kothata bollen, ejonno apnake dhonnobad. Erporeo ei manusder mone Allahr bhoe nai. Era manuser obhisap nie sarajibon bhugbe.
khub valo lagse newsta pore tarek vie
vie khub moja piese apner newsta pore
Bangladesha Share Bazar Thakbe Kina. Chainta Achi Manania Prim Minister Daya Kare Akto Share Bazarer Prothi Nazar Den, Because New Investor will be diye
Baro chor_der bale ki lav.
পুঁজিবাজার কি আদৌ দাঁড়াবে?