২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরের জন্য লাফার্জ সুরমার পরিচালনা পরিষদ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। আগামী ১১ জুন অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) পরিচালনা পর্ষদ ঘোষিত লভ্যাংশে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি পাওয়া গেলে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে কোম্পানিটি।
এ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হলে লাফার্জ সুরমার শেয়ার লেনদেন নিষ্পত্তিতে সময় লাগবে দুই কার্যদিবস। বর্তমানে এ কোম্পানির শেয়ার নিষ্পত্তিতে সময় লাগছে ৯ কার্যদিবস।
২০০৩ সালে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে একমাত্র গ্রিনফিল্ড কোম্পানি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয় লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট। কোম্পানিটি ‘জি’ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত হয়। কিন্তু তালিকাভুক্তির পর থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত লাফার্জ সুরমা তার শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ প্রদান করেনি। এ কারণে তালিকাভুক্তির দ্বিতীয় বছর থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে কোম্পানিটি। তবে ২০১৪ সালের জন্য মধ্যবর্তীকালীন ৫ শতাংশসহ মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের সিদ্ধান্তে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে যাচ্ছে কোম্পানিটি।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, কোম্পানিটি ২০০৩ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত লোকসান দিয়েছে। এরপর ২০০৮ ও ২০০৯ সালে মুনাফা করলেও পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ বেশি হওয়ায় শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে পারেনি। ২০১০ ও ২০১১ সালে কোম্পানিটি ফের লোকসানের কবলে পড়ে। তবে কোম্পানিটি ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হয়।
২০১৪ সালের ৩১ মে কোম্পানিটি পুঞ্জীভূত লোকসান কাটিয়ে মুনাফায় আসে। মুনাফা করায় প্রথমবারের মতো শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।
প্রসঙ্গত, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি যদি কোনো অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ প্রদান না করে তাহলে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে থাকে। ১ থেকে ৯ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান করলে ‘বি’ এবং ১০ থেকে উপরে দিলে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়।
Good