স্টাফ রিপোর্টার : সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে রোববার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর সার্বিক লেনদেন ছিল অনেকটাই নিষ্প্রভ। নিষ্প্রভ বাজারেও অবশ্য জেড গ্রুপভুক্ত কোম্পানি সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হয়েছে। ক্যাটাগরি পরিবর্তনের গুঞ্জনে রোববার বিক্রেতা শূন্যও ছিল দীর্ঘ সময়।
প্লাস্টিক প্যাকেজিং পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিটি ছিল দরবৃদ্ধির শীর্ষে। রোববার সর্বোচ্চ ৪২ টাকা ৬০ পয়সা দরে কেনাবেচা হয়েছে। এ দর গত পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ।
সোমবার সকালে ৪২.২০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়েছে। দিন শেষে পরিবর্তন দেখার পালা।
ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সর্বশেষ তিন কার্যদিবসেই শেয়ারটির বাজারদর ৬ টাকা ২০ পয়সা বেড়েছে। কোম্পানিটি চলতি জুনের হিসাব বছর শেষে লভ্যাংশ ঘোষণা করতে যাচ্ছে- এমন গুঞ্জনই শেয়ারটির দরবৃদ্ধির নেপথ্যের কারণ। গুঞ্জনের পক্ষে যথেষ্ট কারণও আছে।
চলতি হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসে অর্থাৎ গত মার্চ পর্যন্ত সিনোবাংলা শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ১ টাকা ২১ পয়সা। ফলে হিসাব বছরের শেষ তিন মাসে লোকসান না করলে অন্তত ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন এরই মধ্যে করেছে।
শেষ পর্যন্ত আগামী ৩০ জুন হিসাব বছর শেষে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেওয়ার সুপারিশ করলে অর্থাৎ গুঞ্জন সত্য হলে কোম্পানিটি জেড ক্যাটাগরি থেকে বের হবে। এমন ধারণাই অনেককে শেয়ারটি কিনতে উদ্বুদ্ধ করছে। তাতে ব্যাপক শেয়ার চাহিদা বেড়েছে। ফলাফল বিক্রেতা শূন্য অবস্থা।