বিশেষ প্রতিনিধি : দেশে রাসায়নিক ও ওষুধের কাঁচামাল প্রস্তুতকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেড। আমদানি বিকল্প বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ উৎপাদন ও বিপণন করে বার্ষিক আয় বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখছে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।
কোম্পানির বাণিজ্য প্রসার এবং নতুন প্রকল্পে আয় বৃদ্ধির ধারাবাকিতায় বাড়ছে কোম্পানির সক্ষমতা এবং কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয়। দেশের শীর্ষ অনেক ওষুধ কোম্পানি, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কাজে সহায়তায় কাঁচামাল প্রদান করছে এএফসি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেডের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্রান্তিকে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে শেয়ার প্রতি আয়। যা একটি কোম্পানির সক্ষমতার প্রকাশ, কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের দায়বদ্ধতা এবং আস্থাভাজনের চিহ্ন।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেড তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫৭ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৩১পয়সা।
সর্বশেষ ৩ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯০ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ছিল ৮২ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০১৭ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৬ টাকা ৫৫ পয়সা।
কোম্পানির দ্বিতীয় প্রান্তিকে সর্বশেষ ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর,২০১৬) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৬৭ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৪৯ পয়সা।
কোম্পানির দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৫ টাকা ৬৫ পয়সা।
২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির এর আগে ৩ মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ১৬) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৫ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭৫ পয়সা। বাৎসরিক তুলনামূলক আয় বৃদ্ধি প্রভাব পড়ছে কোম্পানির শেয়ারে।
দেশে রাসায়নিক ও ওষুধের কাঁচামাল প্রস্তুতকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেড।
এএফসি এগ্রো বায়োটেকের খুলনায় নিজস্ব ল্যাবে উৎপাদিত বিভিন্ন রাসায়নিকের মধ্যে রয়েছে- মাইক্রোলাইড প্রোাটিন, এল-লাইসিন, মনো সোডিয়াম গ্লোকোমেট, এসিটিক এসিড এবং ম্যাথরিয়ন। কোম্পানির মূল ক্রেতা হচ্ছে- বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি, পোল্ট্রি ফিড, পশু ও মৎস্য খাদ্য প্রস্তুতকারক, টেক্সটাইল কোম্পানি, গবেষণা কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যায়, কলেজ ও বিভিন্ন খাদ্য প্রস্ততকারক কোম্পানি।
দেশের বাজার ছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে রয়েছে বিশেষ ক্রেতা। দেশীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে বিভিন্ন প্রকারের রাসায়নিক উপাদান সরবরাহ করছে এএফসি এগ্রো।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের চুক্তি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যায়ল কর্তৃপক্ষকে সরবরাহকৃত কাঁচামাল থেকে আয়ের মোট ৪ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রদান করছে কোম্পানি।
এছাড়াও প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পাওয়া ১২ কোটি টাকা ব্যবহারে কোম্পানির বাৎসরিক আয় আরো বাড়ছে। সে প্রতিফলন পড়েছে এবং পড়ছে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয়ে। (দ্বিতীয় কিস্তি আগামীতে)