শ্যামল রায়: সাইফুল ইসলাম শেয়ার বাজার নিয়ে অনেকের মত তার কৌতুহল বরাবরই। কৌতুহল ও বাড়তি কিছু লাভের আশায় শেয়ার বাজারে প্রবেশ। প্রথম প্রথম আশেপাশের লোকজনের দেখাদেখিতে শেয়ার ক্রয় বিক্রয় করলেও দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় তৈরি করেছেন বিনিয়োগের নিজেস্ব স্টাইল। শেয়ার বাজার নিয়ে তার পরিকল্পনার কথা জানালেন স্টক বাংলাদেশের পাঠকদের উদ্দেশ্যে।
শেয়ার বাজারে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ইনভেষ্টর আসে যায়। সবার হয়ত সমান ধারণা থাকে না শেয়ার বাজার সর্ম্পকে।তবে সাবধানে দেখেশুনে বিনিয়োগ করা উচিৎ। আস্তে আস্তে মার্কেট বুঝে শুনে বাই সেল করে নিজস্ব একটা স্টাইল তৈরী করা উচিৎ। নিজের পোর্টফোলিওকে এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে লসের সম্ভাবনা কমে যায়। পোর্টফোলিওকে সঠিকভাবে ডাইভারসিফিকেশন করতে হবে।
এজন্য কোম্পানীগুলোর ফান্ডামেন্টাল এন্যালাইসিস করে কিছু নিজের পছন্দমত কোম্পানী বেছে নিতে হবে । এরপর এইসব কোম্পানী সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে সেগুলোর ওয়েবসাইটে সেসব তথ্য ডিসক্লোজ করা আছে তা ভালোভাবে যাছাই বাছাই করতে হবে। যেমনঃ তার রেশিও কত? ন্যাভ কত? আরএসআই কত? এই কোম্পানী কি রকম ডিভিডেন্ট দেয়? অর্থাৎ একটা ভালো কোম্পানীর যেসব গুনাবলী থাকা দরকার তা এই কোম্পানীর আছে কিনা- তা এনালাইসিস করে তারপর ঐ কোম্পানীতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এরপর আস্তে আস্তে যখন মার্কেট সম্পর্কে একটা ধারনা আসবে তখন যেসব কোম্পানীর স্টকগুলো অত্যন্ত ফ্রাকচুয়েট করে দ্রুত লাভের জন্য এসমস্ত কোম্পানীর স্টকগুলো পোর্টফোলিওতে কিনে রাখা যেতে পারে মোট পোর্টফোলিওর কিছু অংশ। মনে রাখতে হবে যেসব কোম্পানী খুব দ্রুত লাভ দেয় এতে লসের সম্ভাবনাও খুব বেশি। কাজেই এ ধরনের শেয়ার গুলো পোর্টফোলিওতে বেশিদিন ধরে রাখা যাবে না।
এই মুহুর্তে বাজার পরিস্তিতি নিয়ে জানতে চাইলে সাইফুল বলেন, অনেকদিন ধরেই বাজার ভালো হবার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তবে কিছুটা সমস্যা এখনও আছে। ডিভিডেন্ট প্রভাব শেষ হতে না হতেই বাজেটের প্রভাব পড়লো বাজারে এরপর আসলো মুদ্রানীতি। যার প্রভাব মার্কেটে আমরা দেখছি।
তবে আশা করা যায়,সব কিছু ছাপিয়ে ঈদের পর মার্কেটের চেহারাই প্লাটে যাবে। কারণ বড় বড় বিনিয়োগকারীরা এতদিন বাজার নিয়ে অবজার্ভ করছিল। তারা ঈদের পর মার্কেটে সক্রিয় হলেই মার্কেট পুরোপুরি বুলিশ ট্রেন্ডে চলে যাবে। কাজেই আমরা আশা করতে পারি ঈদের পর মার্কেট ভালো হবে। আর এজন্য দেখে শুনে এখনই পোর্টফোলিওতে আন্ডারভ্যালূড শেয়ার কিনে রাখা যেতে পারে।