স্টাফ রিপোর্টার : ‘জি’ ক্যাটাগরি নিয়ে অনেক বিনিয়োগকারীর রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। আবার অনেক বিনিয়গকারী অজ্ঞাত ‘জি’ ক্যাটাগরি বলতে কি বুঝায়। পুঁজিবাজার প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় অবস্থায় পড়ে রয়েছে ‘জি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে ৫টি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়। এগুলো হলো- ‘এ, বি, এন ও জেড’ এবং ‘জি’ ক্যাটাগরি। সদ্য তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিগুলোকে ‘এন’ ক্যাটাগরির আওতায় রাখা হয়।
‘এ’ ক্যাটাগরির আওতাভুক্ত কোনো কোম্পানি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে তার শেয়ার লেনদেন শুরুর অর্থবছরে যদি ১০ শতাংশ বা তার ওপরে ক্যাশ অথবা স্টক ডিভিডেন্ড প্রদান করে তাহলে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা হয়। আর নতুন যেসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়ে লেনদেন করে, সেসব হলো ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানি।
যদি ১০ শতাংশের নিচে ডিভিডেন্ড প্রদান করে তাহলে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়। যদি কোনো প্রকার ডিভিডেন্ড না ঘোষণা করে তাহলে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দেয়া হয়।
‘জি’ ক্যাটাগরির সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, যদি কোনো কোম্পানির উৎপাদন কার্যক্রম না থেকে থাকে, অর্থাৎ সবেমাত্র একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি চালু করা হয়েছে কিন্তু উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করেনি; সেসব কোম্পানির উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করার জন্য পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। সাধারণত এসব কোম্পানিকে গ্রিন ফিল্ডের কোম্পানি বলা হয়ে থাকে। এগুলো যদি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়, তাহলে এদের ‘জি’ ক্যাটাগরির আওতায় রাখা হবে।
মূলত আস্থা না থাকায় এখন পর্যন্ত বাজারে কোনো গ্রিন ফিল্ডের কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার সুযোগ পায়নি। ২০০৩ সালে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে একমাত্র গ্রিনফিল্ড কোম্পানি বা ‘জি’ ক্যটাগরীর হিসেবে তালিকাভুক্ত হয় লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট। তবে বাজারের পরিসর বাড়ানোর পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্রিন ফিল্ডের কোম্পানির তালিকাভুক্তি জরুরি।
Lafarge Surma Was enlisted as G category and for long time the category did not changed.